আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু স্বপ্ন দেখা এক জিনিস, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া আরেক জিনিস। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে ব্যবসা শুরু করার পথটা সবসময় মসৃণ হয় না, সেখানে সঠিক দিকনির্দেশনা আর প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক সম্ভাবনাময় উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। আপনিও কি তাদের মধ্যে একজন, যারা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কিন্তু পথ খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যই।
আমরা আজ আলোচনা করব বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের জন্য কী কী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম রয়েছে, কেন এই প্রশিক্ষণগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে আপনি এই সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নকে সফল করতে পারেন।
উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কেন এত জরুরি?
ভাবুন তো, আপনি ক্রিকেট খেলতে নামলেন, কিন্তু খেলার নিয়মকানুন কিছুই জানেন না। কী হবে? নিশ্চিত হার। ব্যবসার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একইরকম। উদ্যোগ সফল করতে হলে আপনাকে জানতে হবে বাজারের চাহিদা, গ্রাহকদের মনস্তত্ত্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, আইনি প্রক্রিয়া – আরও কত কী! এই সবকিছুর জন্য চাই সঠিক প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা:
- জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি: প্রশিক্ষণ আপনাকে ব্যবসার খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। আপনি শিখতে পারবেন কীভাবে একটি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হয়, কীভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়, এবং কীভাবে একটি দল পরিচালনা করতে হয়।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: যখন আপনি জানবেন যে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা আছে, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এই আত্মবিশ্বাস আপনাকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
- ভুল কমানো: প্রশিক্ষণ আপনাকে অন্যদের ভুল থেকে শিখতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি নিজের ব্যবসায় সম্ভাব্য ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পারবেন।
- নেটওয়ার্কিং সুযোগ: অনেক প্রশিক্ষণে অন্যান্য উদ্যোক্তা ও অভিজ্ঞ পেশাদারদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। এই নেটওয়ার্ক আপনার ব্যবসার জন্য অনেক মূল্যবান হতে পারে।
- নতুন ধারণা ও কৌশল: প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা এবং আধুনিক কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের সুযোগ কোথায়?
বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়েই উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে কিছু স্বল্পমেয়াদী, কিছু দীর্ঘমেয়াদী, এবং কিছু নির্দিষ্ট শিল্প বা খাতের ওপর ফোকাস করে।
সরকারি উদ্যোগসমূহ:
বাংলাদেশ সরকার উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও উন্নয়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে।
১. যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর:
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন বৃত্তিমূলক এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
- প্রশিক্ষণের ধরন: কম্পিউটার, পোশাক তৈরি, পোল্ট্রি পালন, মৎস্য চাষ, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কাজ, মোবাইল সার্ভিসিং, বিউটিফিকেশন ইত্যাদি।
- সুবিধা: স্বল্প খরচে বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, ঋণের জন্য সুপারিশ।
- লক্ষ্য: তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা মনোভাব তৈরি করা এবং তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করা।
২. এসএমই ফাউন্ডেশন (SME Foundation):
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- প্রশিক্ষণের ধরন: ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রণয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, ই-কমার্স, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
- সুবিধা: বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা, অনলাইন প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম।
- লক্ষ্য: এসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের ব্যবসাকে টেকসই করা।
৩. বিসিক (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন):
বিসিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে।
- প্রশিক্ষণের ধরন: বিভিন্ন কারিগরি ও হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ (যেমন – বাঁশ ও বেতের কাজ, চামড়াজাত পণ্য তৈরি, নকশিকাঁথা, ব্লক-বাটিক), উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ।
- সুবিধা: প্রশিক্ষণ শেষে ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা।
- লক্ষ্য: গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরি করা।
৪. বিআইডিএম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ):
যদিও এটি সরাসরি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নয়, তবে এর গবেষণা ও পলিসি পরামর্শ উদ্যোক্তা পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক।
বেসরকারি উদ্যোগসমূহ:
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
১. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজনেস স্কুল:
দেশের অনেক পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিজনেস ফ্যাকাল্টি বা এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে উদ্যোক্তা বিষয়ক কোর্স ও ওয়ার্কশপ অফার করে।
- উদাহরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
- প্রশিক্ষণের ধরন: উদ্যোক্তা উন্নয়ন, স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট, ফিনান্স ফর এন্টারপ্রেনারস ইত্যাদি।
২. এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থা:
অনেক এনজিও গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করে।
- উদাহরণ: ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক (যদিও এটি সরাসরি প্রশিক্ষণ দেয় না, তবে ক্ষুদ্রঋণ ও কিছু অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা প্রদান করে)।
- লক্ষ্য: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।
৩. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনিং সেন্টার:
বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে যারা উদ্যোক্তা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স অফার করে।
- উদাহরণ: Udemy, Coursera, 10 Minute School (বাংলায়), বিভিন্ন কর্পোরেট ট্রেনিং ফার্ম।
- সুবিধা: ঘরে বসে শেখার সুযোগ, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ, অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে কোর্স।
আপনার জন্য সঠিক প্রশিক্ষণটি কীভাবে খুঁজবেন?
এতগুলো বিকল্পের মধ্যে থেকে আপনার জন্য সেরা প্রশিক্ষণটি খুঁজে বের করা কঠিন মনে হতে পারে। তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু:
প্রথমেই ভাবুন, আপনার ব্যবসার ধরন কী? আপনি কী নিয়ে কাজ করতে চান? আপনার কোন বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন?
- যদি আপনি একটি টেক-স্টার্টআপ শুরু করতে চান, তাহলে অনলাইন মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, ফান্ডরেইজিং নিয়ে কোর্স আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
- যদি আপনি একটি হস্তশিল্পের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে উৎপাদন কৌশল, মান নিয়ন্ত্রণ, এবং স্থানীয় বাজারজাতকরণ নিয়ে প্রশিক্ষণ আপনার কাজে আসবে।
প্রশিক্ষণের খরচ:
আপনার বাজেট কত, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্সগুলো কিছুটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
প্রশিক্ষণের মেয়াদ:
আপনার হাতে কতটা সময় আছে? আপনি কি স্বল্পমেয়াদী কর্মশালায় অংশ নিতে চান, নাকি দীর্ঘমেয়াদী সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান?
প্রশিক্ষকদের যোগ্যতা:
প্রশিক্ষকরা কতটা অভিজ্ঞ এবং তাদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি কেমন, তা জেনে নেওয়া ভালো। সম্ভব হলে তাদের পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের রিভিউ দেখুন।
সফল উদ্যোক্তাদের গল্প:
অনেক সময় সফল উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শেখাটাও এক ধরনের প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়েবিনার বা পডকাস্টে তাদের কথা শুনুন।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের জন্য কি কোনো বয়সসীমা আছে?
উত্তর: সাধারণত, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। তবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মতো কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রশিক্ষণে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকদের অগ্রাধিকার দেয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন কোর্সের ক্ষেত্রে সাধারণত বয়স কোনো বাধা নয়।
প্রশ্ন ২: প্রশিক্ষণ শেষে কি ঋণ পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, অনেক সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান যেমন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক ইত্যাদি প্রশিক্ষণ শেষে সফল উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয় এবং ঋণের আবেদন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এসএমই ফাউন্ডেশনও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে।
প্রশ্ন ৩: অনলাইনের মাধ্যমে কি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব?
উত্তর: অবশ্যই! বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি উদ্যোক্তা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন। Udemy, Coursera, edX, এবং বাংলাদেশের 10 Minute School-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এখন অনলাইনে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রশ্ন ৪: প্রশিক্ষণ ছাড়া কি উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রশিক্ষণ ছাড়াও উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। অনেকেই স্বশিক্ষিত হয়ে বা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। তবে প্রশিক্ষণ আপনাকে অনেক ভুল এড়াতে এবং দ্রুত সফল হতে সাহায্য করবে। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আপনাকে একটি সুসংগঠিত পথে চলতে সাহায্য করবে। প্রশিক্ষণ ছাড়া সফল হতে গেলে আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম এবং Trial & Error এর মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
প্রশ্ন ৫: প্রশিক্ষণের জন্য কি কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে?
উত্তর: বেশিরভাগ উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের জন্য খুব উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না। কিছু কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাস বা তার সমমানের যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে। তবে উচ্চতর বিজনেস কোর্স বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু একাডেমিক যোগ্যতা লাগতে পারে। অনেক অনলাইন কোর্স সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, যেখানে শুধুমাত্র শেখার আগ্রহই মূল যোগ্যতা।
প্রশ্ন ৬: ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য কোন ধরনের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে উপযোগী?
উত্তর: ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য হাতে-কলমে এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ সবচেয়ে উপযোগী। যেমন – ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিস, এবং নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ। সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন বিসিক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই উপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
শেষ কথা
উদ্যোক্তা হওয়াটা একটা যাত্রা, যেখানে প্রতিনিয়ত শেখার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ দিন দিন বাড়ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগান। সঠিক প্রশিক্ষণ আপনাকে কেবল জ্ঞান আর দক্ষতা দেবে না, বরং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করবে।
তো, আর দেরি কেন? আজই আপনার পছন্দের প্রশিক্ষণটি খুঁজে বের করুন এবং আপনার উদ্যোক্তা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করুন! আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে আরও কোন ধরনের উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ চালু হওয়া উচিত? আপনার মতামত আমাদের জানান!