১৫ হাজার টাকায় সেরা মোবাইল: কিনুন!

আহ, ১৫ হাজার টাকা! বাংলাদেশে এই বাজেটে একটা ভালো মোবাইল ফোন খুঁজে বের করাটা যেন একটা অ্যাডভেঞ্চার! আপনি যদি ভাবছেন যে এই বাজেটে একটা ভালো ফোন পাওয়া কি আদৌ সম্ভব, তাহলে আমি বলবো, "অবশ্যই সম্ভব!" আসলে, ১৫ হাজার টাকার মধ্যে এমন অনেক স্মার্টফোন আছে যা আপনার দৈনন্দিন সব প্রয়োজন মেটাতে পারে, এমনকি গেমিং বা ফটোগ্রাফির শখও পূরণ করতে পারে। কিন্তু এত ব্র্যান্ড আর মডেলের ভিড়ে কোনটা আপনার জন্য সেরা হবে, সেটা খুঁজে বের করাটা একটু কঠিন হতে পারে। চিন্তা নেই, আপনার এই কঠিন কাজটা সহজ করে দিতেই আমি আজ হাজির হয়েছি। চলুন, আপনার ১৫ হাজার টাকার বাজেটকে কীভাবে সেরা স্মার্টফোন কেনার যুদ্ধে জেতানো যায়, সেই গোপন টিপসগুলো জেনে নিই!

Table of contents

১৫ হাজার টাকায় ভালো মোবাইল ফোন কেনা কি সম্ভব?

অনেকেই ভাবেন, ১৫ হাজার টাকা মানেই বুঝি আপস করা। কিন্তু বর্তমান টেকনোলজির যুগে এই ধারণাটা একেবারেই ভুল। আসলে, এখন এই বাজেটেও এমন কিছু ফোন পাওয়া যায় যা আপনাকে চমকে দেবে। উন্নত প্রসেসর, ভালো ক্যামেরা, শক্তিশালী ব্যাটারি – সবকিছুর দারুণ কম্বিনেশন এখন এই প্রাইস রেঞ্জে হাতের মুঠোয়। তবে হ্যাঁ, আপনাকে জানতে হবে কোন ফিচারগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে জরুরি এবং কোন ব্র্যান্ডগুলো এই বাজেটে সেরা অফার দিচ্ছে।

স্মার্টফোন কেনার আগে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন?

ফোন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা ফোনটি বেছে নিতে পারবেন এবং পরে আফসোস করতে হবে না।

১. প্রসেসর এবং পারফরম্যান্স

মোবাইল ফোনের গতি এবং কার্যক্ষমতা নির্ভর করে প্রসেসরের উপর। আপনি যদি গেমিং করেন বা একসাথে অনেক অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে শক্তিশালী প্রসেসর খুবই জরুরি। এই বাজেটে MediaTek Helio G সিরিজের প্রসেসর (যেমন G85, G88) বা Qualcomm Snapdragon 600 সিরিজের প্রসেসর (যেমন Snapdragon 680) বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেয়।

২. র‍্যাম এবং স্টোরেজ

র‍্যাম যত বেশি হবে, ফোন তত দ্রুত কাজ করবে এবং মাল্টিটাস্কিং তত সহজ হবে। ১৫ হাজার টাকায় সাধারণত ৪জিবি বা ৬জিবি র‍্যামের ফোন পাওয়া যায়। স্টোরেজের ক্ষেত্রে ৬৪জিবি বা ১২৮জিবি স্টোরেজ আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। তবে যদি আপনি অনেক ছবি, ভিডিও বা অ্যাপ রাখেন, তাহলে ১২৮জিবি স্টোরেজ ভালো হবে।

৩. ক্যামেরা

ছবি তোলার শখ অনেকেরই থাকে। এই বাজেটে এখন ৪৮ মেগাপিক্সেল বা ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা সাধারণ হয়ে গেছে। দিনের আলোতে এই ক্যামেরাগুলো বেশ ভালো ছবি তুলতে পারে। কিছু ফোনে আল্ট্রা-ওয়াইড এবং ম্যাক্রো লেন্সও থাকে, যা ফটোগ্রাফিকে আরও মজাদার করে তোলে। সেলফির জন্য ৮ মেগাপিক্সেল বা ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা যথেষ্ট।

৪. ব্যাটারি লাইফ

ফোনে চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা কে না করে? ৫০০০ mAh ব্যাটারির ফোন এই বাজেটে খুবই জনপ্রিয়। এই ব্যাটারি আপনাকে সারাদিন নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করতে দেবে। ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকলে তো সোনায় সোহাগা! ১৫ ওয়াট বা ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এই বাজেটে বেশ কিছু ফোনে পাওয়া যায়।

৫. ডিসপ্লে

ভিডিও দেখা বা গেম খেলার জন্য ভালো ডিসপ্লে খুবই জরুরি। ১৫ হাজার টাকায় সাধারণত FHD+ রেজোলিউশনের LCD বা IPS ডিসপ্লে পাওয়া যায়। কিছু ফোনে AMOLED ডিসপ্লেও দেখা যায়, যা কালার এবং কনট্রাস্টের দিক থেকে অনেক ভালো। রিফ্রেশ রেট যদি ৯০Hz বা ১২০Hz হয়, তাহলে স্ক্রলিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা আরও মসৃৎ হবে।

৬. অপারেটিং সিস্টেম (OS)

অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেন লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন থাকে। এতে আপনি নতুন ফিচার এবং সিকিউরিটি আপডেট পাবেন। ইউজার ইন্টারফেস (UI) কেমন, সেটাও দেখে নেবেন। Xiaomi-এর MIUI, Realme-এর Realme UI, Samsung-এর One UI – এইগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং ফিচার-প্যাকড।

৭. বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন

ফোনটা দেখতে কেমন, হাতে ধরে কেমন লাগে, সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক বডি এই বাজেটে সাধারণ। তবে কিছু ফোন গ্লসি ফিনিশ বা টেক্সচার্ড ব্যাক প্যানেল দিয়ে প্রিমিয়াম লুক দেয়।

১৫ হাজার টাকায় সেরা কিছু মোবাইল ফোন (২০২৪)

চলুন, এবার দেখে নিই বর্তমান বাজারে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে কোন ফোনগুলো আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এখানে আমি কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের কিছু মডেল নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার বাজেট এবং চাহিদার সাথে মানানসই হতে পারে।

মডেল প্রসেসর র‍্যাম/স্টোরেজ ক্যামেরা (পেছনে/সামনে) ব্যাটারি ডিসপ্লে বিশেষ ফিচার
Xiaomi Redmi 12 MediaTek Helio G88 4GB/128GB, 6GB/128GB 50MP+8MP+2MP/8MP 5000 mAh 6.79" FHD+ 90Hz IPS LCD গ্লাস ব্যাক, IP53 রেটিং
Realme C53 Unisoc T612 6GB/128GB 50MP/8MP 5000 mAh 6.74" HD+ 90Hz IPS LCD 33W ফাস্ট চার্জিং, মিনি ক্যাপসুল
Samsung Galaxy A05s Snapdragon 680 4GB/64GB, 6GB/128GB 50MP+2MP+2MP/13MP 5000 mAh 6.7" FHD+ 60Hz PLS LCD Samsung ব্র্যান্ড ভ্যালু
Infinix Hot 40i Unisoc T606 8GB/256GB 50MP/32MP 5000 mAh 6.56" HD+ 90Hz IPS LCD 32MP সেলফি ক্যামেরা, 256GB স্টোরেজ
Vivo Y17s MediaTek Helio G85 4GB/64GB, 6GB/128GB 50MP+2MP/8MP 5000 mAh 6.56" HD+ 60Hz LCD IP54 ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স

নোট: এই মডেলগুলোর দাম এবং প্রাপ্যতা বাজারে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। কেনার আগে অবশ্যই বর্তমান বাজার মূল্য যাচাই করে নিন।

Xiaomi Redmi 12

রেডমি ১২ এই বাজেটে একটি চমৎকার ফোন। এর গ্লাস ব্যাক ডিজাইন একে একটি প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে, যা এই দামের ফোনে সচরাচর দেখা যায় না। ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিনের আলোতে চমৎকার ছবি তোলে। মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ প্রসেসর দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। ৯০Hz ডিসপ্লে স্ক্রলিং এবং ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করে। যাদের স্টাইলিশ ফোন পছন্দ এবং ভালো ক্যামেরার সাথে স্মুথ পারফরম্যান্স চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ পছন্দ।

Realme C53

রিয়েলমি সি৫৩ তার ৩৩W ফাস্ট চার্জিং এর জন্য বেশ পরিচিত। মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০% চার্জ হয়ে যায়, যা এই বাজেটে অবিশ্বাস্য! ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং মিনি ক্যাপসুল (আইফোনের ডাইনামিক আইল্যান্ড-এর মতো) ফিচারগুলো একে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। দৈনন্দিন ব্যবহার এবং হালকা গেমিং এর জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য ফোন।

Samsung Galaxy A05s

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫এস তাদের জন্য যারা ব্র্যান্ড ভ্যালুকে গুরুত্ব দেন। স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর দৈনন্দিন কাজের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। স্যামসাং এর ওয়ান ইউআই ব্যবহারকারীদের একটি ক্লিন এবং স্মুথ অভিজ্ঞতা দেয়। যদিও এর ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট ৬০Hz, তবে স্যামসাং এর বিল্ড কোয়ালিটি এবং নির্ভরযোগ্যতা এটিকে একটি ভালো বিকল্প করে তোলে।

Infinix Hot 40i

ইনফিনিক্স হট ৪০আই তার বিশাল ৮জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬জিবি স্টোরেজ নিয়ে এই বাজেটে রীতিমতো চমক। যারা অনেক অ্যাপ, ছবি এবং ভিডিও রাখেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ। ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা সেলফি প্রেমীদের জন্য দারুণ খবর। গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ে এটি বেশ ভালো পারফর্ম করে।

Vivo Y17s

ভিভো ওয়াই১৭এস তার আইপি৫৪ রেটিং নিয়ে এসেছে, যা একে ধুলো এবং হালকা পানির ছিটা থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি তাদের জন্য ভালো যারা একটু মজবুত ফোন চান। মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ প্রসেসর দৈনন্দিন কাজ এবং হালকা গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট। ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিনের আলোতে ভালো ছবি তোলে।

ফোন কেনার সময় আরও কিছু টিপস

  • অফার এবং ডিসকাউন্ট: বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম (যেমন Daraz, Pickaboo) এবং ফিজিক্যাল স্টোরগুলোতে প্রায়ই অফার এবং ডিসকাউন্ট চলে। সঠিক সময়ে কেনাকাটা করলে আপনি আরও ভালো ডিল পেতে পারেন।
  • ওয়ারেন্টি: ফোন কেনার আগে অবশ্যই ওয়ারেন্টি পলিসি সম্পর্কে জেনে নিন। অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি সবসময়ই ভালো।
  • ইউজার রিভিউ: ফোন কেনার আগে অনলাইনে কিছু ইউজার রিভিউ দেখে নিতে পারেন। এতে ফোনের বাস্তব পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
  • তুলনা করুন: আপনার পছন্দের কয়েকটি ফোনকে পাশাপাশি রেখে তাদের ফিচার এবং দামের তুলনা করুন। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

আপনার ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী ফোন নির্বাচন

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন এবং ব্যবহারের ধরন।

আপনি যদি একজন গেমিং ফ্রিক হন:

যদি আপনি পাবজি, ফ্রি ফায়ার বা কল অফ ডিউটির মতো গেম খেলতে ভালোবাসেন, তাহলে আপনার জন্য শক্তিশালী প্রসেসর (যেমন MediaTek Helio G88 বা Snapdragon 680), বেশি র‍্যাম (৬জিবি বা ৮জিবি) এবং ভালো রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে (৯০Hz বা ১২০Hz) আছে এমন ফোন দেখা উচিত। ইনফিনিক্স হট ৪০আই অথবা রেডমি ১২ এই ক্ষেত্রে ভালো বিকল্প হতে পারে।

আপনি যদি ফটোগ্রাফি ভালোবাসেন:

দিনের আলোতে ভালো ছবি তোলার জন্য ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এখন এই বাজেটে সাধারণ। তবে ক্যামেরার অ্যাপারচার (f/1.8 বা এর কম) এবং পিক্সেল সাইজ (০.৭ µm বা এর বেশি) দেখে নিতে পারেন। সেলফির জন্য ভালো মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা (যেমন ইনফিনিক্স হট ৪০আই এর ৩২ মেগাপিক্সেল) আপনার কাজে আসবে। রেডমি ১২ বা ইনফিনিক্স হট ৪০আই এক্ষেত্রে ভালো অপশন।

আপনি যদি দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ চান:

সারা দিন চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে চাইলে ৫০০০ mAh বা তার বেশি ব্যাটারির ফোন আপনার জন্য আদর্শ। সাথে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকলে আরও ভালো। রিয়েলমি সি৫৩ এর ৩৩W ফাস্ট চার্জিং এই ক্ষেত্রে চমৎকার। এছাড়াও, রেডমি ১২, স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫এস বা ভিভো ওয়াই১৭এস এর ৫০০০ mAh ব্যাটারি আপনাকে দীর্ঘ সময় পাওয়ার দেবে।

আপনি যদি মাল্টিমিডিয়া কনজিউমার হন (ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং):

ভিডিও দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিংয়ের জন্য বড় ডিসপ্লে এবং ভালো ব্যাটারি লাইফ জরুরি। FHD+ রেজোলিউশনের ডিসপ্লে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। রেডমি ১২ এর ৬.৭৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং রিয়েলমি সি৫৩ এর ৬.৭৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে এই ক্ষেত্রে দারুণ।

আপনি যদি একজন ছাত্র বা সাধারণ ব্যবহারকারী হন:

যদি আপনার ফোন ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হয় পড়াশোনা, অনলাইন ক্লাস, কল করা, মেসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, তাহলে একটি ৪জিবি র‍্যাম এবং ৬৪জিবি স্টোরেজের ফোনই যথেষ্ট। এই ক্ষেত্রে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫এস বা ভিভো ওয়াই১৭এস আপনার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।

১৫ হাজার টাকায় ৫জি ফোন কি পাওয়া যায়?

সত্যি বলতে, ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের ৫জি ফোন খুঁজে পাওয়াটা বর্তমানে বেশ কঠিন। কিছু ব্র্যান্ড হয়তো ৫জি ফোন এই বাজেটে অফার করে, কিন্তু সেগুলোর পারফরম্যান্স বা অন্যান্য ফিচার হয়তো ততটা ভালো নাও হতে পারে। ৫জি প্রযুক্তির জন্য সাধারণত কিছুটা বেশি বাজেট প্রয়োজন হয়। তবে ৪জি ফোনগুলোও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত খুবই কার্যকর এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সক্ষম। তাই ৫জি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না হয়ে, আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পারে এমন একটি ভালো ৪জি ফোন বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

১৫ হাজার টাকার মধ্যে একটি ভালো মোবাইল ফোন খুঁজে বের করাটা এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব। একটু খোঁজখবর নিলেই আপনি আপনার বাজেট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা ফোনটি পেয়ে যাবেন। আশা করি, এই গাইডটি আপনাকে আপনার পরবর্তী স্মার্টফোন কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, সবচেয়ে দামি ফোন মানেই সেরা ফোন নয়, বরং যে ফোনটি আপনার প্রয়োজন সবচেয়ে ভালোভাবে পূরণ করে, সেটিই আপনার জন্য সেরা। আপনার কোন ফোনটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে বা আপনি এই বাজেটে কোন ফোন ব্যবহার করছেন, তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না! আপনার অভিজ্ঞতা অন্যদেরও সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *