আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
পাসপোর্ট! একটা ছোট্ট বই, কিন্তু এর ক্ষমতা বিশাল। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দেখার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ এই পাসপোর্ট। কিন্তু এই পাসপোর্ট বানানোটা অনেকের কাছেই একটা ঝক্কির ব্যাপার। কোথায় যাব, কী কী লাগবে, কীভাবে করব – এই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। তাই আমি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার A টু Z গাইড। এই ব্লগপোস্টটি পড়লে পাসপোর্ট করা নিয়ে আপনার মনে আর কোনও প্রশ্ন থাকবে না, গ্যারান্টি!
পাসপোর্ট কেন প্রয়োজন?
পাসপোর্ট শুধু একটা ভ্রমণ দলিল নয়, এটা আপনার নাগরিকত্বের প্রমাণও। বিদেশে গেলে আপনার পরিচয় বহন করে এই পাসপোর্ট। এছাড়াও, বর্তমানে অনেক কাজেই identity verification এর জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। তাই, শুধু ভ্রমণের জন্য নয়, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও পাসপোর্ট থাকা দরকার।
পাসপোর্টের প্রকারভেদ (Types of Passport in Bangladesh)
বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের পাসপোর্ট পাওয়া যায়:
- সাধারণ পাসপোর্ট (Ordinary Passport): এটি সাধারণত নীল রঙের হয়ে থাকে এবং ভ্রমণ, শিক্ষা, ব্যবসা ইত্যাদি সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
- অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport): এটি সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়।
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি যেকোনো একটির জন্য আবেদন করতে পারেন। সাধারণত, আমাদের জন্য সাধারণ পাসপোর্টই যথেষ্ট।
পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Documents required for passport):
পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার আগে কিছু কাগজপত্র হাতের কাছে রাখা ভালো। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। নিচে জরুরি কিছু কাগজের তালিকা দেওয়া হলো:
- অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
- পরিচয়পত্রের প্রমাণ: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC)।
- ঠিকানার প্রমাণ: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল অথবা পানির বিলের কপি।
- পেশার প্রমাণ: চাকরিজীবীদের জন্য অফিস আইডি কার্ড অথবা NOC (No Objection Certificate), ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)।
- বৈবাহিক অবস্থার সনদ (যদি বিবাহিত হন)।
- পুরোনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (অনলাইন আবেদনের সময় আপলোড করতে হয়)।
পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম (Online Passport Application Process):
এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আসুন, ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক:
ধাপ ১: পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট ভিজিট করা
প্রথমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd।
ধাপ ২: অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করা
- ওয়েবসাইটে গিয়ে "Apply Online" অপশনে ক্লিক করুন।
- একটি নতুন পেজ আসবে, যেখানে আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
- ফর্মটি মনোযোগ দিয়ে পূরণ করুন, কারণ ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
- সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে "Save" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট আপলোড করা
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
- ছবি এবং ডকুমেন্টের সাইজ যেন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ওয়েবসাইটে আপলোডের জন্য সাইজের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
ধাপ ৪: পেমেন্ট করা
- অনলাইনে আবেদন করার পরে আপনাকে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করতে হবে।
- আপনি ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারেন।
- পেমেন্ট করার সময় Transaction ID সংরক্ষণ করুন।
পাসপোর্ট ফি কত? (Passport Fee in Bangladesh)
পাসপোর্টের ফি নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট চান এবং কত দ্রুত পেতে চান তার ওপর। নিচে ফি-এর একটি তালিকা দেওয়া হলো (এটি পরিবর্তনশীল, তাই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়াই ভালো):
পাসপোর্টের ধরন | পৃষ্ঠা সংখ্যা | ডেলিভারি সময় | ফি (আনুমানিক) |
---|---|---|---|
সাধারণ | ৪৮ | সাধারণ (১৫ দিন) | ৪০২৫ টাকা |
সাধারণ | ৪৮ | এক্সপ্রেস (৭ দিন) | ৬৩২৫ টাকা |
সাধারণ | ৬৪ | সাধারণ (১৫ দিন) | ৬৩২৫ টাকা |
সাধারণ | ৬৪ | এক্সপ্রেস (৭ দিন) | ৮৬২৫ টাকা |
ধাপ ৫: এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া
- পেমেন্ট করার পরে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য একটি এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- আপনার সুবিধামতো তারিখ এবং সময় নির্বাচন করুন।
- এপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময়টি সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৬: পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া
- এপয়েন্টমেন্টের তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং এপয়েন্টমেন্ট পেপার নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান।
- সেখানে আপনার কাগজপত্র যাচাই করা হবে এবং ছবি তোলা হবে।
- ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হবে।
ধাপ ৭: পাসপোর্ট সংগ্রহ করা
- সবকিছু ঠিক থাকলে, আপনাকে একটি ডেলিভারি স্লিপ দেওয়া হবে।
- ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখ করা তারিখে পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট রি ইস্যু করার নিয়ম (Passport Re-issue Process):
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অথবা অন্য কোনো কারণে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার প্রয়োজন হতে পারে। রি-ইস্যু করার নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো:
পাসপোর্ট রি ইস্যুর কারণ
- মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে।
- পাসপোর্ট চুরি হয়ে গেলে।
- পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে গেলে।
- পাসপোর্টে ভুল তথ্য থাকলে।
রি ইস্যুর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পুরোনো পাসপোর্টের কপি।
- অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
- পরিচয়পত্রের প্রমাণ (NID)।
- ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল)।
- পেশার প্রমাণপত্র।
- জিডি কপি (পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে)।
রি ইস্যুর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
- অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন।
- এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান।
- ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন।
- ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ করুন এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?
পাসপোর্ট পেতে সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে, এক্সপ্রেস ডেলিভারির মাধ্যমে খুব দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যেতে পারে। এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
পাসপোর্ট করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস (Important Tips for Passport Application):
- ফর্ম পূরণ করার সময় সতর্ক থাকুন, ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
- ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের সাইজ যেন সঠিক থাকে।
- পেমেন্ট করার সময় Transaction ID সংরক্ষণ করুন।
- এপয়েন্টমেন্টের তারিখে সময়মতো পাসপোর্ট অফিসে যান।
- সব কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs):
১. পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে?
পাসপোর্ট করতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC), বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল), এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। এছাড়াও, পেশা অনুযায়ী কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।
২. পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
পাসপোর্ট করার খরচ নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট চান এবং কত দ্রুত পেতে চান তার ওপর। বর্তমানে, ৪৮ পৃষ্ঠার সাধারণ পাসপোর্টের জন্য প্রায় ৪০২৫ টাকা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য প্রায় ৬৩২৫ টাকা লাগে। এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য খরচ কিছুটা বেশি হবে।
৩. পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?
সাধারণত, পাসপোর্ট পেতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে, এক্সপ্রেস ডেলিভারির মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
৪. পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে কী কী লাগে?
পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য আপনার পুরোনো পাসপোর্টের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার কপি জমা দিতে হবে।
৫. পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার নিয়ম কী?
পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। ছবি অবশ্যই recent হতে হবে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে হতে হবে, এবং আপনার মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যেতে হবে। ছবি তোলার সময় কোনো টুপি, সানগ্লাস অথবা অন্য কোনো জিনিস ব্যবহার করা যাবে না যা আপনার মুখ ঢাকতে পারে।
৬. আমি কি আমার মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে পারি?
পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার জন্য পেশাদার ফটোগ্রাফার এর কাছে যাওয়াই ভালো। তবে, যদি আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে চান, তাহলে নিশ্চিত করুন যে ছবিটি ভালো মানের হয় এবং উপরে দেওয়া নিয়মগুলো অনুসরণ করে তোলা হয়েছে।
৭. পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করব?
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে দ্রুত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। জিডির কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।
৮. পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম কি?
পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন করতে হবে। রি-ইস্যুর আবেদনের সময় আপনি আপনার নতুন ঠিকানা উল্লেখ করতে পারবেন।
৯. ই-পাসপোর্ট কি?
ই-পাসপোর্ট হলো একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট, যাতে একটি ছোট চিপ যুক্ত থাকে। এই চিপে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন: ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংরক্ষিত থাকে। ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে খুব সহজে এবং দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
১০. পাসপোর্ট করার জন্য কি জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে?
১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) বাধ্যতামূলক। তবে, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করতে পারবেন।
১১. পাসপোর্ট অফিসে কি দালাল ধরে কাজ করানো যায়?
পাসপোর্ট অফিসে দালাল ধরে কাজ করানো উচিত নয়। এতে আপনার মূল্যবান সময় এবং অর্থ নষ্ট হতে পারে। দালালরা অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে বা অবৈধ উপায়ে কাজ করে, যা আপনার জন্য ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১২. পাসপোর্ট করার সময় কি পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়?
পাসপোর্ট করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুলিশ আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই করে এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে আপনার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়।
১৩. পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কতদিন আগে রি-ইস্যু করা যায়?
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করা ভালো। এতে আপনি সময়মতো নতুন পাসপোর্ট হাতে পাবেন এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন।
১৪. পাসপোর্টে কি কি ভুল থাকলে সমস্যা হতে পারে?
পাসপোর্টে নামের ভুল, জন্ম তারিখের ভুল, লিঙ্গের ভুল অথবা অন্য কোনো ভুল থাকলে সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের ভুল থাকলে আপনার ভ্রমণ বাতিল হতে পারে অথবা আপনি অন্য কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন।
১৫. পাসপোর্ট করার জন্য কি ব্যাংক একাউন্ট থাকা জরুরি?
পাসপোর্ট করার জন্য ব্যাংক একাউন্ট থাকা জরুরি নয়। তবে, অনলাইনে ফি পরিশোধ করার জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থাকা সুবিধাজনক।
আশা করি, এই ব্লগপোস্টটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে। পাসপোর্ট করা নিয়ে যদি এখনও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব দ্রুত উত্তর দিতে।
শুভকামনা!